Kala Kendra, an art space run by artists, presents artist Wazuddin Mamun’s solo art exhibition titled, ‘Selected Works Of An Outsider’. Artist Wakilur Rahman curates the exhibition.
Professor Nisar Hossain has graced the inaugural ceremony as the special guest and speaker.
The solo art exhibition is hosted online @Artitude – www.artitude.com.bd.
Video Presentation
Secretive Works of an Outsider | Wazuddin Mamun | Art Exhibition
Curator’s Statement
শিল্প সৃষ্টি বা উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভিন্নতা এবং কখনো কখনো অভিনবতা শিল্পের ইতিহাস গুরুত্ব সহকারে মেনে নিয়েছে। অন্যদিকে শিল্পের ইতিহাস বিবেচনায় না রেখে, মূলধারার চর্চার বাইরে থেকে যে সব শিল্পীরা এ কর্মকাণ্ডে আসক্ত, সেইসব শিল্পকে বিশেষ কোনো ধারায় নির্দিষ্ট করা ঠিক কিনা জানি না।
মামুনের কাজকে বিবেচনা করতে গেলে তাঁর ব্যক্তিগত ইতিহাস, গল্প, বর্ণনাকে বিবেচনায় নিতেই হবে। যদিও শিল্পের গুনাগত তাঁর বিবরণকে ছাড়িয়ে যায়। মামুনের ইতিহাস, গল্প আমরা খুব কম জানি। তাঁর শিল্প ভাবনা, রূপ, বর্ননায় একেবারেই নিজস্ব, অভিনব। কাগজে তেল রং, জল রং, পেন্সিল, বলপেন সাথে সাথে বিভিন্ন উপাদানে কোলাস, তথ্যে গল্পে ভরাট। যেখানে ব্যক্তিশিল্পীকে শিল্প থেকে বিছিন্ন অসম্ভব।
অত্যান্ত নাটকীয়ভাবে তাঁর কাজের সাথে আমাদের পরিচয়, শিল্পী মামুনকে খুঁজে বের করা ও কলাকেন্দ্রে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্প উৎপাদন, উদ্যাপন পক্রিয়ায় জটিল ও অভিনবতার সাথে আমরা পরিচিত হবো, যা শিল্পী ও শিল্পকে হয়তো বুঝতে সহায়তা করবে।
ওয়াকিলুর রহমান, কিউরেটর, কলাকেন্দ্র
Critic
প্রথা বহির্ভূত শিল্পী
ওয়াজউদ্দিন মামুন (১৯৮২)
মাছ ব্যবসায়ী নানা আব্দুল গনি ব্যাপারীর বাড়ি সোয়ারীঘাট। সেই বাড়িতেই ১৯৮২ সালে ওয়াজউদ্দিন মামুনের জন্ম। তবে তাঁর পৈত্রিক নিবাস ৫ নং হাজী আবদুল রশীদ লেন, বংশাল। পুরোনো ঢাকার বংশালেই মামুনের বেড়ে ওঠা এবং স্থায়ীভাবে বসবাস। পিতা, পিতামহ, প্র-পিতামহ, ধারাবাহিকভাবে এঁরা সবাই ছিলেন লেদ মেশিনে কাজ করা দক্ষ কারিগর বা মিস্ত্রি। তবে মা কিংবা বাবা, কোনো পক্ষ থেকেই শিল্পচর্চার প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণা তিনি পাননি। তবু তিনি শিল্পচর্চাকে জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে বেছে নিলেন। জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সমৃদ্ধ যে শিল্প ধারাগুলো তাঁর আশেপাশে বিরাজ করছিলো সেগুলোর সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো দক্ষতা তাঁর ছিলো না। হয়তোবা আগ্রহও তেমন ছিলো না। কুড়িয়ে পাওয়া কাগজের ওপর তিন রঙা বলপেন দিয়ে রঙিন ছবি আঁকবার নেশা তাঁকে পেয়ে বসে ২০০২-২০০৩ সাল থেকে। পরিচয় হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চিত্রশিল্পী আজহারুল হক মাখনের সাথে। প্রায় একই সময়ে খোঁজ পেয়ে যান ছবির হাট আর চারুকলা অনুষদের। ছবির হাটের উন্মুক্ত প্রদর্শনী, সর্বসাধারণের অংশ নেয়ার সুযোগ ইত্যাদি ওঁর আগ্রহ এবং আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সৃষ্টির নেশায় ক্রমাগত রচিত হয়ে যাওয়া শিল্পকর্মগুলো পাগলামির ফসল হিসেবে গণ্য হতে থাকে পরিবার আর নিকটজনদের কাছে। কেননা এতে অর্থের জলাঞ্জলি আছে, আয় নেই। এক সময় মামুনের কাছেও এই চর্চা উভয় অর্থে অর্থহীন বোধ হতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি হতাশাগ্রস্ত ও নিভৃতচারী হয়ে ওঠেন। সম্ভবত পারিবারিক জীবনও তাঁকে বিপর্যস্ত করে তোলে (এ বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছুই জানা যায়নি)। জীবনপ্রবাহ থেমে যাওয়ার উপক্রম হলেও ছবি আঁকা থেমে থাকে না।
২০১৭ সালের কোনো এক অপরাহ্ণে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানী’ তরুণ শিল্পী আমাদের শাহাবুদ্দীন শেখ রঙমাখা ময়লা কাগজের একটা বান্ডিল নিয়ে আমার অফিসকক্ষে ঢুকে এই নামহীন-গোত্রহীন শিল্পীর বিষয়ে আমাকে জানায়। কী কারণে এই কাজগুলো মামুন চারুকলার কাছে এনে ফেলে দিয়ে গেলেন তা আমাদের দুজনেরই কৌতূহলের কারণ হয়ে ওঠে। এরপর খুঁজে আনা হয় মামুনকে। বিস্তারিত জানবার চেষ্টা করে যেটুকু বুঝলাম মামুন ছবি আঁকেন, কিন্তু কেন এই অভাব-তাড়িত অবস্থাতেও আঁকেন সে উত্তর তাঁর জানা নেই। সম্ভবত তাঁর আঁকা এইসব ছবি সমাদৃত হওয়ার মতো কিনা তা শেষবারের মতো পরখ করার জন্যই চারুকলার সামনে ফেলে যাওয়া। আর তাই তাকে ডেকে নিয়ে আসায় সে আনন্দে আত্মহারা। এর বেশি তার চাওয়া নেই।
অধ্যাপক নিসার হোসেন, ডিন, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।
Media Coverage
Wazuddin Mamun’s ‘Secretive Works of an Outsider’ at Kala Kendra







